Sunday, July 12, 2015

১৩ বছরের শিশু সামিউলকে মিথ্যা চুরির দায়ে নির্মম ভাবে হত্যা।

বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে জয় লাভ করায়, আজ আমরা অনেক খুশি তাই না? হ্যাঁ, আমিও খুশি তবে যতটুকু পরিমাণ খুশি হওয়ার দরকার ছিল, ততটুকু পরিমাণ খুশি হতে পারলাম কোথায়? দেশের অরাজগতা, বিশৃঙ্খলা, মারামারি, হানাহানি, রাহাজানি এত রকমের সমস্যার পরে একটা জয় দেখলে মনটা একটু শান্তি পায়। কিন্তু আজ এমন একটা ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে যে, ঘটনাটার কথা মনে পরলে চোখে পানি চলে আসতে বাধ্য!


ইনসেটে নির্যাতিত শিশু "সামিউল"

Friedrich Nietzsche-এর একটা উক্তি আছে "Man is the cruelest animal" আজ সেটা বাস্তবতায় (টিভি-সেটে) দেখলাম।

একটা শিশুকে যারা এইভাবে নির্যাতন করে মেরেই ফেলতে পারে, তারা কেমন ফ্যামিলির থেকে জন্ম নিছে ভাবতেই অবাক লাগে!!! চুরের ঘরেও কিন্তু চুর জন্ম নিবে, এরকম কোন কথা নেই। তাই, এরা যেরকম ফ্যামিলি থেকেই ভূমিষ্ঠ হোকনা কেন, নিজের কি কোন বিবেক নেই? নেইকি অন্তঃরে একফুটু দয়া/মায়া? একটা কুকুরও যদি একটা খারাপ লোকের সামনে যেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণায় জিহ্বা বের করে, তবুও সেই খারাপ লোকের অন্তঃরে একটু দয়া হবে। কোন খাবার দিক বা না দিক অন্তত অন্তঃর বলবে "ক্ষুধার জন্তনায় কুকুরটা কাতরাচ্ছে"।

নির্মম ভাবে বেধড়ক পিটানর সাথে আবার সেটা ভিডিও করে অনলাইনে অতি উৎসাহে আপলোডও করা হয়েছে!!! পিপাসায় কাঁতর ছেলেটা পানির জন্য আকুতি করলে, পানি তো দেইইনাই উলটো "পানি নাই ঘাম খা" বলে বর্বরতা চালায়!!

আমি আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ দেখিনি, কিন্তু আমি আজকের দিন দেখেছি! ছেলেটাকে মারছে আর উল্লাসে ফেটে পরছে। কীভাবে তারা ১৩ বছর বয়সী একটা শিশুকে এরকম বর্বরতা করতে?

"নির্যাতনের একপর্যায়ে সামিউলের নখ, মাথা ও পেটে রোল দিয়ে আঘাত করা হয়। এ ছাড়া বাঁ হাত ও ডান পা ধরে মুচড়াতেও দেখা যায়। কয়েক মিনিটের জন্য সামিউলকে হাতের বাঁধন খুলে হাঁটতে দেওয়া হয়। এ সময় নির্যাতনকারীরা ‘হাড়গোড় তো দেখি সব ঠিক আছে, আরো মারো...’ বলে সামিউলের বাঁ হাত খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে আরেক দফা পেটায়।"

আজ যদি সামিউল মাইক্রোবাসচালকের পুলা না হত, একজন সবজি বিক্রেতা না হত, তবে হয়তবা আজ ১৩ বছর বয়সী এই ছেলেটার এরকম করুন মৃত্যু হতনা।

শেষে যেয়ে কিচ্ছু বলব না। কুত্তার বাচ্চা বেজন্মা গুলারে কিছু বইলা লাভ নাই। এই বেজন্মা গুলার ফাঁসির আবেদন করছি সরকারের কাছে। জনগণের সামনে যেন এই বেজন্মা গুলারে ফাঁসি দেওয়া হয়। ফাঁসির আগে জনতার ছেচা খাওয়ার ব্যাবস্থাও যেন করা হয়। একবার খালি এই রকম সাস্তির ব্যাবস্থা করেই দেখুক না সরকার। সব বেজন্মা সন্তান গুলার শিক্ষা হইয়া যাইব!